প্রকাশনার সময়: সোমবার ২৬, অগাস্ট ২০২৪

সংগ্রামী কবিতা : জল সন্ত্রাস | সৈয়দ আল জাবের

Share on:

kobita jol sontrash

কবিতা : জল সন্ত্রাস

কবি : জাকির আবু জাফর

আবৃত্তি : সৈয়দ আল জাবের

সম্পাদনা : শামছুল আলম বকুল

ক্যামেরা : নাজমুল হক লালু

পরিচালনা : শেখ নজরুল

প্রধান নির্বাহী : মাহবুব মুকুল

********জল সন্ত্রাস********

কবি জাকির আবু জাফর

দেখেই চিনেছি পানি নও, তুমি জল

তোড়জোড়ে প্রতিশোধের ভয়ংকর উন্মাদনা

ডম্বুর গেট উদম করে নৃত্য করছো আমাদের সাধাসিধে সরল জনপদে

কি চাও অহিংস নেতার বিদ্বেষি ঢেউ!

আমাদের বৃক্ষরাজি শেকড়ে দাঁড়াক-

কখনো চাওনি তুমি

আমাদের রৌদ্রছায়ায় থাকুক ঐতিহ্যের ঘ্রাণ-

চাওনি এটিও

জাতি হোক আত্মবোধে উজ্জীবিত

হোক স্বাধীনতায় সমুন্নত শির-

তুমি চাওনি কোনোদিন

ইতিহাসের কথা কি আর বলবো-

সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতেই তোমার যত ভয়

অথচ সত্য ছাড়া আর কিছুই গ্রহণের অঙ্গীকার নেই আমাদের

তাই জলেও জ্বলছে দেখো ক্ষোভের আগুন!

তুমি তো জল-সন্ত্রাস

আমাদের গ্রামগুলোর নিশ্বাস ডুবিয়ে রেখেছো

আমাদের সাধারণের দৈনন্দিন জীবন বন্দী করেছো

তলিয়েছো আমাদের ফসলি সবুজ

দেখোনি আমাদের গ্রামগুলো কী ভদ্র নিরীহ!

এ নিরীহ বুকের ভেতর কেমন দ্রোহের আগুন

ঝাঁ দাউদাউ দুরন্ত দহন, এখনো বোঝোনি বুঝি!

এইতো মাত্র কদিন- রাজপথে জ্বলজ্বলন্ত হলো মহাকাব্যিক অভ্যুত্থান বারুদ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কীভাবে উড়ে এলো আমাদের বিপ্লবের পাখিরা

কীভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে রাজপথ কাঁপিয়ে এলো বিস্ময় আবাবিল

একবার জ্বলে উঠলেই রক্তলিপ্সু ডাইনিকেও খোঁপা ছেড়ে পালাতে হয়

লাগেজ ভর্তি করে নিতে হয়- জিঘাংসা নৃশংসতা অবিচার ও অন্যায়ের বাকল

শয়তানের শিং আর আমাদের বিবেচ্য নয়

আজাজিলের পাছায় থাপ্পড় মারার

কওয়ত ও কৌশল বীরত্ব দিয়েছে আমাদের!

আমাদের তারুণ্য এখন পৃথিবীর নতুন মিছিল,

জগতের তাবত স্বৈরাচারীর কানে স্লোগান- বাংলাদেশ, বাংলাদেশ!

এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে কাতর এখন উপমহাদেশ

এই বুঝি মসনদে আঁকা হবে তারুণ্যের তুফান

আমাদের নিরীহ জনপদের ঠাঁইটুকু ডুবতেই পারে

কিন্তু ন্যায় ও স্বাধীনতার পক্ষে তাক করা আমাদের হৃদয় ডুববে না কোনোদিন !দেখেই চিনেছি পানি নও, তুমি জল

তোড়জোড়ে প্রতিশোধের ভয়ংকর উন্মাদনা

ডম্বুর গেট উদম করে নৃত্য করছো আমাদের সাধাসিধে সরল জনপদে

কি চাও অহিংস নেতার বিদ্বেষি ঢেউ!

আমাদের বৃক্ষরাজি শেকড়ে দাঁড়াক-

কখনো চাওনি তুমি

আমাদের রৌদ্রছায়ায় থাকুক ঐতিহ্যের ঘ্রাণ-

চাওনি এটিও

জাতি হোক আত্মবোধে উজ্জীবিত

হোক স্বাধীনতায় সমুন্নত শির-

তুমি চাওনি কোনোদিন

ইতিহাসের কথা কি আর বলবো-

সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতেই তোমার যত ভয়

অথচ সত্য ছাড়া আর কিছুই গ্রহণের অঙ্গীকার নেই আমাদের

তাই জলেও জ্বলছে দেখো ক্ষোভের আগুন!

তুমি তো জল-সন্ত্রাস

আমাদের গ্রামগুলোর নিশ্বাস ডুবিয়ে রেখেছো

আমাদের সাধারণের দৈনন্দিন জীবন বন্দী করেছো

তলিয়েছো আমাদের ফসলি সবুজ

দেখোনি আমাদের গ্রামগুলো কী ভদ্র নিরীহ!

এ নিরীহ বুকের ভেতর কেমন দ্রোহের আগুন

ঝাঁ দাউদাউ দুরন্ত দহন, এখনো বোঝোনি বুঝি!

এইতো মাত্র কদিন- রাজপথে জ্বলজ্বলন্ত হলো মহাকাব্যিক অভ্যুত্থান বারুদ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কীভাবে উড়ে এলো আমাদের বিপ্লবের পাখিরা

কীভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে রাজপথ কাঁপিয়ে এলো বিস্ময় আবাবিল

একবার জ্বলে উঠলেই রক্তলিপ্সু ডাইনিকেও খোঁপা ছেড়ে পালাতে হয়

লাগেজ ভর্তি করে নিতে হয়- জিঘাংসা নৃশংসতা অবিচার ও অন্যায়ের বাকল

শয়তানের শিং আর আমাদের বিবেচ্য নয়

আজাজিলের পাছায় থাপ্পড় মারার

কওয়ত ও কৌশল বীরত্ব দিয়েছে আমাদের!

আমাদের তারুণ্য এখন পৃথিবীর নতুন মিছিল,

জগতের তাবত স্বৈরাচারীর কানে স্লোগান- বাংলাদেশ, বাংলাদেশ!

এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে কাতর এখন উপমহাদেশ

এই বুঝি মসনদে আঁকা হবে তারুণ্যের তুফান

আমাদের নিরীহ জনপদের ঠাঁইটুকু ডুবতেই পারে

কিন্তু ন্যায় ও স্বাধীনতার পক্ষে তাক করা আমাদের হৃদয় ডুববে না কোনোদিন !